বিষাক্ত জীবন
ছেলেটি আর সামনে পারলো না এগোতে ,
তার জীবনের শেষ ইচ্ছাটা পারলো না কাউকে বলতে।
মাটিতে নিমিষেই পড়ে গেল ,
শত যন্ত্রণা নিয়ে আগন্তকের দিকে তাকাল।
নিজ চোখকেই যেন পারছে না বিশ্বাস করতে!
কিন্তু, শত চেষ্টা করেও পারল কোন কথা বলতে।
মূহুর্তের মধ্যে ঘটনা পাল্টে গেল
আগন্তকের চিৎকার ভেসে এলো ।
আগন্তক মাটিতে লুটিয়ে পড়লো,
বিরবির করে কী যেন বলল।
ও এসে গেছে !এসে গেছে!
তার কারনে তার সবচেয়ে কাছের বন্ধুকে নিজ হাতে মারতে চেয়েছে।
এমন সময় কে যেন বলল,
এদের তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে চলো।
কিন্তু আগন্তক চায় না বাঁচতে ,
চায় না তার সবচেয়ে কাছের বন্ধুর কাছে যেতে
আগন্তক অজ্ঞান হয়ে গেলো,
হাসপাতালে তার চোখ খুললো।
আমাকে ফাঁসানো হয়েছে চিৎকার দিয়ে বললো,
এতে অনেক চোখের মাঝে এক জোড়া ঘৃণায় মিশ্রিতো চোখ চোখে পড়লো।
আগন্তক এবার বুঝতে পারছে ,
তাকে কেন বাঁচানো হয়েছে।
আগন্তক মনে মনে বলল,
এর থেকে মৃত্যুও ভালো ছিল।
তাকে কথার জালে ফাঁসানো হয়েছে,
এ কথা পারলো কেন আগে বুঝতে?
নিজেকে ধিক্কার দিলো,
তার কানে কে যেন ফিসফিস করে বলল।
তার দিকে তাকাতেই ঘৃণায় ভরে গেল,
ও এসে গেছে !ও এসে গেছে বিরবির করে বললো।
আগন্তকের কানের কাছে বলল,
(তাচ্ছিল্যের কন্ঠে)এর থেকে তোমার মৃত্যুও ভালো ছিল?
এখন তোমার বন্ধু তোমাকে আর করবে না বিশ্বাস,
আগন্তকের ভবিষ্যত ভেবে দিলো দীর্ঘ নিঃশ্বাস।
আগন্তক তাকে অনুরোধ করলো,
কাতর কন্ঠে তাকে বলল।
আমার সাথে করছ প্রতারনা,
এতে আমার নেই কোন মানা।
কিন্তু,তার সাথে প্রতারণা করো না ,
সে রেগে বলে এত কিছু তোকে বলতে হবে না।
আগন্তক কেঁদে বলে আমার শেষ ইচ্ছাটা রাখো,
সে বলে আচ্ছা ঠিক আছে ব্যপারটা ভেবে দেখবো।
তোর কথাটা রাখতে হলে ,
আমার শর্তটা মানতে হবে।
আগন্তক নীরবে সম্মতি জানাতেই,
সে বলে,আমার তিনটি খুনের দায় তুই শিকার করবি নিজের।
এছাড়া সম্ভব না তোর বলদ বন্ধুর ভালো করার,
আগন্তক কাতর কন্ঠে বলে এছাড়া উপায় নেই আর?
সে হেসে বলে এছাড়া আর নেই কোন উপায়,
তাহলে বুঝতে পারছ একটু পড় যাবে কোথায়?
আগন্তক জেলখানায় বন্দী হলো,
তারপরও মনে মনে খুশি কিছুটা হলো।
আজকে আগন্তকের ফাঁসি হবে,
আগন্তক হেসে মনে মনে বলে,তাহলে আসল খুনীর হবে?
আগন্তককে হাসতে দেখে সবাই অবাক,
আগন্তকের কথা শুনে সবাই হতবাক!
আগন্তক বলে, আমার মৃত্যুতে নেই কোন ভয়,
কারন আমি আগেই করছি মৃত্যুকে জয়।
আমি চাই এখনই মারা যেতে,
আমি চাইনা এই বিষাক্ত জীবন নিয়ে আর বাঁচতে।
অসাধারণ
উত্তরমুছুন